URINE R/E টেস্ট কী: প্রস্রাব পরীক্ষার তথ্য

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? শরীরটা একটু ম্যাজম্যাজ করছে? কিংবা কোনো একটা অস্বস্তি? ডাক্তার হয়তো আপনাকে একটা ইউরিন আর/ই (URINE R/E) টেস্ট করাতে বলেছেন। কিন্তু ইউরিন আর/ই টেস্টটা আসলে কী, কেন করা হয়, আর এর মাধ্যমেই বা কী জানা যায় – এসব নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা এই প্রস্রাব পরীক্ষার খুঁটিনাটি সব তথ্য জানবো, যাতে আপনার মনে আর কোনো দ্বিধা না থাকে!

তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!

ইউরিন আর/ই (URINE R/E) টেস্ট কী?

ইউরিন আর/ই, যার পুরো নাম হলো ইউরিন রুটিন এবং মাইক্রোস্কোপিক এক্সামিনেশন (Urine Routine and Microscopic Examination)। এটা একটা সাধারণ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা। আপনার মূত্রের (প্রস্রাব) কিছু স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক উপাদান খুঁজে বের করাই এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি এবং মূত্রনালীর বিভিন্ন রোগ সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, প্রস্রাবের মধ্যে কী কী আছে, সেটাই এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হয়।

কেন এই পরীক্ষা করা হয়?

ইউরিন আর/ই টেস্ট বিভিন্ন কারণে করা হয়ে থাকে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • রোগ নির্ণয়: প্রস্রাবে সংক্রমণ (Urinary Tract Infection বা UTI), কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস এবং লিভারের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
  • শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন: কোনো রোগের চিকিৎসা শুরু করার আগে বা চিকিৎসার অগ্রগতি নিরীক্ষণের জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
  • স্ক্রিনিং: কিছু ক্ষেত্রে, কোনো লক্ষণ না থাকলেও রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা করা হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বা কোনো বড় সার্জারির আগে।

এছাড়াও, যদি আপনার মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে ডাক্তার ইউরিন আর/ই টেস্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন:

  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
  • প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
  • পেটের নিচে বা পিঠে ব্যথা
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
  • প্রস্রাবের цветок ঘোলাটে বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া

ইউরিন আর/ই টেস্ট কিভাবে করা হয়?

এই পরীক্ষাটি খুবই সহজ এবং সাধারণত কোনো রকম discomfort হয় না। নিচে পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো:

১. নমুনা সংগ্রহ

  • ডাক্তার আপনাকে একটি sterile container (জীবাণুমুক্ত পাত্র) দেবেন।
  • প্রস্রাব করার আগে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • "Mid-stream" পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করুন। এর মানে হলো, প্রথমে কিছুটা প্রস্রাব করার পর, মাঝের প্রস্রাবটুকু পাত্রে সংগ্রহ করুন, এবং শেষের প্রস্রাবটুকু পাত্রে না ফেলে দিন। এতে নমুনার মান ভালো থাকে।
  • পাত্রটি ভালোভাবে বন্ধ করে দিন এবং ল্যাবরেটরিতে জমা দিন।

২. ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা

ল্যাব টেকনিশিয়ান আপনার প্রস্রাবের নমুনাটি পরীক্ষা করবেন। এই পরীক্ষায় প্রধানত তিনটি জিনিস দেখা হয়:

  • শারীরিক পরীক্ষা: প্রস্রাবের রঙ, গন্ধ এবং স্বচ্ছতা দেখা হয়। স্বাভাবিক প্রস্রাবের রঙ হালকা হলুদ হয়ে থাকে। ঘোলাটে বা অন্য কোনো রঙের উপস্থিতি সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • রাসায়নিক পরীক্ষা: প্রস্রাবের pH, প্রোটিন, গ্লুকোজ, কিটোন, বিলিরুবিন, ইউরোবিলিনোজেন এবং নাইট্রাইট-এর মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। এই উপাদানগুলোর অস্বাভাবিক মাত্রা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
  • Microscopic Examination (অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা): এই পরীক্ষায় মাইক্রোস্কোপের নিচে প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells), লোহিত রক্ত কণিকা (Red Blood Cells), ব্যাকটেরিয়া, ক্রিস্টাল এবং অন্যান্য উপাদান দেখা হয়।

৩. রিপোর্টিং

পরীক্ষার পর, ল্যাবরেটরি থেকে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। রিপোর্টে আপনার প্রস্রাবের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা উল্লেখ করা থাকে। এই রিপোর্ট নিয়ে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ইউরিন আর/ই টেস্টের স্বাভাবিক মান (Normal Values)

ইউরিন আর/ই টেস্টের রিপোর্টে বিভিন্ন উপাদানের স্বাভাবিক মাত্রা দেওয়া থাকে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের স্বাভাবিক মান উল্লেখ করা হলো:

উপাদান স্বাভাবিক মান
রঙ হালকা হলুদ (Pale Yellow)
স্বচ্ছতা স্বচ্ছ (Clear)
pH ৪.৫ – ৮.০
প্রোটিন (Protein) অনুপস্থিত (Absent)
গ্লুকোজ (Glucose) অনুপস্থিত (Absent)
কিটোন (Ketone) অনুপস্থিত (Absent)
বিলিরুবিন (Bilirubin) অনুপস্থিত (Absent)
রক্ত কণিকা (RBC) ০-২ /HPF (High Power Field)
শ্বেত কণিকা (WBC) ০-৫ /HPF (High Power Field)
ব্যাকটেরিয়া অনুপস্থিত (Absent)

এই মানগুলো ল্যাবরেটরি ভেদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে। তাই আপনার রিপোর্টের সাথে দেওয়া স্বাভাবিক মানগুলো মিলিয়ে দেখুন।

রিপোর্টের ফলাফল এবং এর ব্যাখ্যা

ইউরিন আর/ই টেস্টের রিপোর্টে যদি কোনো অস্বাভাবিক ফলাফল আসে, তাহলে তা বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। নিচে কয়েকটি সাধারণ অস্বাভাবিক ফলাফলের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

  • প্রোটিন: প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া, গর্ভাবস্থায় বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও প্রোটিন থাকতে পারে।
  • গ্লুকোজ: প্রস্রাবে গ্লুকোজের উপস্থিতি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
  • শ্বেত রক্ত কণিকা (WBC): প্রস্রাবে WBC-এর সংখ্যা বেশি থাকলে তা মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) বা অন্য কোনো প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়।
  • লোহিত রক্ত কণিকা (RBC): প্রস্রাবে RBC-এর উপস্থিতি কিডনি রোগ, মূত্রনালীর সংক্রমণ বা অন্য কোনো আঘাতের কারণে হতে পারে।
  • নাইট্রাইট: প্রস্রাবে নাইট্রাইটের উপস্থিতি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হতে পারে।

রিপোর্টের ফলাফল দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ডাক্তার আপনার অন্যান্য শারীরিক লক্ষণ এবং পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দিতে পারবেন।

ইউরিন আর/ই টেস্টের আগে কী কী প্রস্তুতি নিতে হয়?

সাধারণত, এই পরীক্ষার জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু বিষয় মনে রাখা ভালো:

  • ডাক্তারকে আপনারcurrent medication (বর্তমান ওষুধ) সম্পর্কে জানান। কিছু ওষুধ পরীক্ষার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে, মাসিক চলাকালীন এই পরীক্ষা না করানোই ভালো। যদি জরুরি হয়, তাহলে ল্যাব টেকনিশিয়ানকে বিষয়টি জানাতে হবে।
  • প্রস্রাবের নমুনা দেওয়ার আগে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে পর্যাপ্ত প্রস্রাব তৈরি হবে।

ইউরিন আর/ই টেস্ট কত খরচ?

বাংলাদেশে ইউরিন আর/ই টেস্টের খরচ সাধারণত ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে ল্যাবরেটরি এবং অঞ্চলের ওপর নির্ভর করে খরচ কমবেশি হতে পারে।

ইউরিন আর/ই এবং ইউরিন কালচার টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কী?

অনেকেই ইউরিন আর/ই এবং ইউরিন কালচার টেস্টকে এক মনে করেন, কিন্তু এই দুটির মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে এই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:

বৈশিষ্ট্য ইউরিন আর/ই (URINE R/E) ইউরিন কালচার (URINE CULTURE)
উদ্দেশ্য প্রস্রাবের সাধারণ অবস্থা, যেমন – রঙ, স্বচ্ছতা, pH, প্রোটিন, গ্লুকোজ, রক্ত কণিকা এবং অন্যান্য উপাদান পরীক্ষা করা। প্রস্রাবের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি এবং পরিমাণ নির্ণয় করা। এছাড়াও, কোন অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) ব্যাকটেরিয়াকে মারতে সক্ষম, তা পরীক্ষা করা হয়।
পদ্ধতি প্রস্রাবের শারীরিক, রাসায়নিক এবং মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা করা হয়। প্রস্রাবের নমুনা একটি বিশেষ মাধ্যমে (culture medium) রেখে ব্যাকটেরিয়া জন্মানো হয়। তারপর ব্যাকটেরিয়ার colony count (ব্যাকেরিয়ার সংখ্যা) এবং অ্যান্টিবায়োটিক সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করা হয়।
কখন করা হয় যখন প্রস্রাবের সাধারণ অবস্থা সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়, অথবা কোনো রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। যখন প্রস্রাবে সংক্রমণের (UTI) সন্দেহ হয়, অথবা ইউরিন আর/ই তে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া, অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচনের জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
রিপোর্টের তথ্য প্রস্রাবের রঙ, স্বচ্ছতা, pH, প্রোটিন, গ্লুকোজ, রক্ত কণিকা, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য উপাদানের মাত্রা উল্লেখ থাকে। প্রস্রাবে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার নাম, পরিমাণ (colony count) এবং কোন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াকে মারতে সক্ষম তার তালিকা দেওয়া থাকে।

কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)

এখানে ইউরিন আর/ই টেস্ট নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

প্রশ্ন ১: ইউরিন আর/ই টেস্ট কি খালি পেটে করতে হয়?

উত্তর: না, ইউরিন আর/ই টেস্টের জন্য খালি পেটে থাকার প্রয়োজন নেই। আপনি খাবার খাওয়ার পরেই এই পরীক্ষা করাতে পারেন। তবে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে প্রস্রাব করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রশ্ন ২: ইউরিন ইনফেকশন (UTI) হলে ইউরিন আর/ই রিপোর্টে কী দেখায়?

উত্তর: ইউরিন ইনফেকশন (UTI) হলে ইউরিন আর/ই রিপোর্টে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো দেখা যায়:

  • শ্বেত রক্ত কণিকা (WBC) -এর সংখ্যা বেশি থাকে।
  • ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থাকে।
  • নাইট্রাইট (Nitrite) পজিটিভ হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: গর্ভাবস্থায় ইউরিন আর/ই টেস্ট কেন করা হয়?

উত্তর: গর্ভাবস্থায় ইউরিন আর/ই টেস্ট নিম্নলিখিত কারণে করা হয়:

  • গর্ভাবস্থায় UTI (Urinary Tract Infection) হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, তাই সংক্রমণ সনাক্ত করার জন্য।
  • প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি প্রি-এক্লাম্পসিয়া (Preeclampsia) নামক জটিলতার ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) নিরীক্ষণের জন্য।
  • কিডনির কার্যকারিতা (Kidney Function) মূল্যায়নের জন্য।

প্রশ্ন ৪: ইউরিন আর/ই রিপোর্টে "pus cells" মানে কী?

উত্তর: ইউরিন আর/ই রিপোর্টে "pus cells" মানে হলো শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells)। প্রস্রাবে pus cells-এর উপস্থিতি সংক্রমণ বা প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়।

প্রশ্ন ৫: ইউরিন আর/ই করার কতক্ষণ পর রিপোর্ট পাওয়া যায়?

উত্তর: সাধারণত, ইউরিন আর/ই করার ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। তবে, কিছু ল্যাবরেটরিতে সময় বেশি লাগতে পারে।

প্রশ্ন ৬: প্রস্রাবের pH কী নির্দেশ করে?

উত্তর: প্রস্রাবের pH প্রস্রাবের অ্যাসিডিক (আম্লিক) বা অ্যালকালাইন (ক্ষারীয়) মাত্রা নির্দেশ করে। স্বাভাবিক pH মাত্রা ৪.৫ থেকে ৮.০ এর মধ্যে থাকে। অস্বাভাবিক pH মাত্রা কিডনি রোগ, সংক্রমণ বা খাদ্যগ্রহণের কারণে হতে পারে।

প্রশ্ন ৭: ইউরিন আর/ই রিপোর্টে কাস্ট (casts) বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ইউরিন আর/ই রিপোর্টে কাস্ট (casts) হলো কিডনির টিউবুলের (tubules) মধ্যে জমা হওয়া কোষ বা প্রোটিনের সমষ্টি। বিভিন্ন ধরনের কাস্ট বিভিন্ন কিডনি রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। যেমন, হাইলাইন কাস্ট (hyaline casts) স্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু গ্রানুলার কাস্ট (granular casts) বা RBC কাস্ট (RBC casts) কিডনি রোগের লক্ষণ।

প্রশ্ন ৮: প্রস্রাবের ইউরোবিলিনোজেন (Urobilinogen) কী?

উত্তর: ইউরোবিলিনোজেন হলো বিলিরুবিনের (Bilirubin) একটি উপজাত (byproduct), যা লিভারে তৈরি হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। প্রস্রাবে ইউরোবিলিনোজেনের মাত্রা লিভারের রোগ বা রক্তাল্পতার (anemia) কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।

প্রশ্ন ৯: ফলস পজিটিভ (False positive) ফলাফল বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ফলস পজিটিভ (False positive) ফলাফল মানে হলো, পরীক্ষায় কোনো উপাদান উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও রিপোর্টে উপস্থিতি দেখাচ্ছে। এটি ভুল নমুনা সংগ্রহ, দূষিত পাত্র ব্যবহার বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে।

প্রশ্ন ১০: ইউরিন আর/ই টেস্টের বিকল্প কী কী?

উত্তর: ইউরিন আর/ই টেস্টের বিকল্প হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা করা যেতে পারে, যা রোগের কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে:

  • ইউরিন কালচার (Urine Culture)
  • কিডনি ফাংশন টেস্ট (Kidney Function Test)
  • আলট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasonography)
  • সিটি স্ক্যান (CT Scan)

উপসংহার

আশা করি, ইউরিন আর/ই টেস্ট নিয়ে আপনার মনে যে প্রশ্নগুলো ছিল, তার উত্তর দিতে পেরেছি। মনে রাখবেন, এই পরীক্ষাটি আপনার স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।

যদি আপনার ইউরিন আর/ই রিপোর্ট নিয়ে কোনো চিন্তা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন! আর স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো তথ্যের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

যদি এই ব্লগ পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ার হয়তো অনেকের উপকারে আসতে পারে। ধন্যবাদ!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *