HSG টেস্ট কেন করা হয়: ফ্যালোপিয়ান টিউব পরীক্ষা

জীবনটা যখন একটু অন্যরকম হওয়ার কথা, নতুন অতিথি আসার আনন্দে ভরে ওঠার কথা, তখন যদি জানতে পারেন কিছু সমস্যা আছে, মনটা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু মুশকিল হল, অনেক সময় মহিলারা গর্ভধারণ করতে সমস্যা অনুভব করেন, এবং এর পেছনে একটা কারণ হতে পারে ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা। এই টিউব ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মধ্যে মিলন ঘটাতে সাহায্য করে। তাই, এই টিউব ঠিক আছে কিনা, তা জানা খুব জরুরি। আর সেই জন্যই HSG (Hysterosalpingography) টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে।

কিন্তু HSG টেস্টটা আসলে কী, কেন এটা করা হয়, আর এই টেস্টের মাধ্যমেই বা কী জানা যায়—এই সব প্রশ্নের উত্তরগুলো সহজ করে বুঝিয়ে বলার জন্যই আজকের আলোচনা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক HSG টেস্টের খুঁটিনাটি।

HSG টেস্ট কেন করা হয়: ফ্যালোপিয়ান টিউব পরীক্ষা

HSG, মানে হিস্টেরোসাল্পিংগোগ্রাফি, হলো একটা বিশেষ এক্স-রে পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু (uterus) এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব (fallopian tubes) এর ভেতরের অবস্থা দেখা হয়। যখন কোনো মহিলা গর্ভধারণ করতে সমস্যায় পড়েন, তখন ডাক্তাররা এই পরীক্ষাটি করে দেখেন যে তার ফ্যালোপিয়ান টিউব খোলা আছে কিনা অথবা জরায়ুতে কোনো সমস্যা আছে কিনা।

HSG টেস্ট কী এবং কেন?

HSG টেস্ট হলো এক ধরনের রঞ্জনরশ্মি বা এক্স-রে। এর মাধ্যমে মহিলার জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের ছবি নেওয়া হয়। এই পরীক্ষাটি মূলত করা হয় ফ্যালোপিয়ান টিউব খোলা আছে কিনা, তা দেখার জন্য। অনেক সময় টিউব বন্ধ থাকলে ডিম্বাণু (egg) জরায়ুতে আসতে পারে না, ফলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এছাড়া, জরায়ুর কোনো গঠনগত ত্রুটি থাকলেও এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়।

HSG টেস্টের মূল উদ্দেশ্য

  • ফ্যালোপিয়ান টিউব খোলা আছে কিনা, তা দেখা।
  • জরায়ুর ভেতরের কোনো সমস্যা যেমন টিউমার, পলিপ বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা, তা নির্ণয় করা।
  • বারবার গর্ভপাত হওয়ার কারণ খুঁজে বের করা।
  • বন্ধ্যাত্বের (infertility) কারণ নির্ণয় করা।

ফ্যালোপিয়ান টিউব পরীক্ষার গুরুত্ব

ফ্যালোপিয়ান টিউব ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলনস্থলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি এই টিউব বন্ধ থাকে, তাহলে ডিম্বাণু জরায়ুতে পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না। তাই, ফ্যালোপিয়ান টিউবের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হওয়ার কারণ

  • সংক্রমণ (Infection): পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID) এর কারণে ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • সার্জারি: পূর্বে কোনো সার্জারি হয়ে থাকলে, তার কারণেও টিউবে সমস্যা হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis): এই রোগের কারণে জরায়ুর বাইরের কোষ ফ্যালোপিয়ান টিউবে ছড়িয়ে গিয়ে টিউব বন্ধ করে দিতে পারে।

HSG টেস্ট কিভাবে করা হয়?

HSG টেস্ট করার পদ্ধতিটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এটি সাধারণত একটি বিশেষ এক্স-রে বিভাগে করা হয়।

টেস্টের প্রস্তুতি

  • ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষার আগে কিছু ওষুধ বন্ধ করতে বলতে পারেন।
  • সাধারণত, এই পরীক্ষা মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে করা হয়, যখন আপনার পিরিয়ড শেষ হয়েছে কিন্তু ওভুলেশন (ডিম্বাণু নিঃসরণ) শুরু হয়নি।
  • পরীক্ষার আগে আপনার কোনো সংক্রমণ (infection) থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে।

টেস্টের পদ্ধতি

  1. প্রথমে, আপনাকে একটি টেবিলের উপর শুতে বলা হবে, অনেকটা পেলভিক পরীক্ষার মতো।
  2. ডাক্তার আপনার যোনিপথে একটি স্পেকুলাম (speculum) প্রবেশ করাবেন, যা জরায়ু মুখ (cervix) দেখতে সাহায্য করবে।
  3. তারপর, জরায়ু মুখ পরিষ্কার করে একটি সরু টিউব (ক্যানুলা) জরায়ুতে প্রবেশ করানো হবে।
  4. এই টিউবের মাধ্যমে একটি বিশেষ ডাই (dye) জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয়। এই ডাই এক্স-রে তে দেখা যায়।
  5. ডাই প্রবেশ করানোর সময়, এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের ছবি নেওয়া হয়।
  6. যদি টিউব খোলা থাকে, তাহলে ডাই টিউব দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পেটের গহ্বরে ছড়িয়ে পড়বে, যা এক্স-রে তে দেখা যাবে। আর যদি টিউব বন্ধ থাকে, তাহলে ডাই টিউবের মধ্যে আটকে থাকবে।

টেস্টের সময়কাল

HSG টেস্ট সাধারণত ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। এটি একটি বহির্বিভাগীয় পদ্ধতি, তাই আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না।

টেস্টের পরে কী হয়?

  • টেস্টের পর আপনি সামান্য রক্তপাত (spotting) এবং পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
  • ডাক্তার আপনাকে ব্যথানাশক ওষুধ দিতে পারেন।
  • সাধারণত, কয়েক দিনের মধ্যে আপনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।
  • যদি আপনার জ্বর, অতিরিক্ত রক্তপাত বা পেটে তীব্র ব্যথা হয়, তবে দ্রুত ডাক্তারকে জানাতে হবে।

HSG টেস্টের ফলাফল এবং এর ব্যাখ্যা

HSG টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পরে, ডাক্তার আপনাকে এটি ব্যাখ্যা করবেন। ফলাফলের উপর নির্ভর করে, পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

স্বাভাবিক ফলাফল

যদি HSG টেস্টের ফলাফল স্বাভাবিক হয়, তার মানে আপনার জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব সম্পূর্ণ খোলা আছে। এক্ষেত্রে, গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অস্বাভাবিক ফলাফল

যদি HSG টেস্টের ফলাফল অস্বাভাবিক হয়, তাহলে এর মানে হতে পারে:

  • ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ (blocked fallopian tube): এটি ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন পথে বাধা সৃষ্টি করে।
  • জরায়ুতে টিউমার বা পলিপ (tumor or polyp): এটি গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি (uterine abnormalities): যেমন জরায়ুর আকার বা অবস্থানে কোনো সমস্যা।

ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ

ফলাফল অস্বাভাবিক হলে ডাক্তার আপনাকে আরও কিছু পরীক্ষা করতে বলতে পারেন, যেমন:

  • ল্যাপারোস্কোপি (Laparoscopy): এটি একটি ছোট সার্জিক্যাল পদ্ধতি, যার মাধ্যমে পেটের ভিতরে ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং জরায়ু সরাসরি দেখা যায়।
  • হিস্টেরোস্কোপি (Hysteroscopy): এই পদ্ধতিতে জরায়ুর ভিতরে একটি ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে জরায়ুর অবস্থা দেখা হয়।

ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ডাক্তার আপনাকে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন সার্জারি বা অন্য কোনো উর্বরতা সহায়ক পদ্ধতির (fertility treatment) পরামর্শ দিতে পারেন।

HSG টেস্টের ঝুঁকি এবং সতর্কতা

HSG টেস্ট সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ঝুঁকি এবং সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

সাধারণ ঝুঁকি

  • সংক্রমণ (Infection): জরায়ুতে সংক্রমণ হওয়ার সামান্য ঝুঁকি থাকে।
  • অ্যালার্জি (Allergy): ডাই ব্যবহারের কারণে অ্যালার্জি হতে পারে।
  • পেটে ব্যথা (Abdominal pain): পরীক্ষার পর কয়েক দিন পেটে ব্যথা থাকতে পারে।
  • রক্তপাত (Bleeding): সামান্য রক্তপাত হতে পারে।

সতর্কতা

  • যদি আপনার কোনো অ্যালার্জি থাকে, তবে ডাক্তারকে আগে থেকেই জানাতে হবে।
  • পরীক্ষার আগে এবং পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

যদি আপনি HSG টেস্টের পর নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত:

  • জ্বর (Fever)
  • তীব্র পেটে ব্যথা (Severe abdominal pain)
  • অতিরিক্ত রক্তপাত (Excessive bleeding)
  • দুরগন্ধযুক্ত স্রাব (Foul-smelling discharge)

গর্ভধারণের জন্য অন্যান্য পরীক্ষা

HSG টেস্টের পাশাপাশি, গর্ভধারণের জন্য আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

অন্যান্য উর্বরতা পরীক্ষা

  • ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা (Ovarian reserve testing): এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যায়।
  • হরমোন পরীক্ষা (Hormone testing): যেমন FSH, LH, Estradiol, Progesterone ইত্যাদি হরমোন পরীক্ষা করে ডিম্বাণু উৎপাদন এবং মাসিক চক্রের নিয়মিততা সম্পর্কে জানা যায়।
  • আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound): জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের অবস্থা দেখার জন্য আলট্রাসাউন্ড করা হয়।

পুরুষদের জন্য পরীক্ষা

  • শুক্রাণু পরীক্ষা (Semen analysis): পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং আকার পরীক্ষা করা হয়।
  • হরমোন পরীক্ষা (Hormone testing): পুরুষের হরমোন মাত্রা পরীক্ষা করা হয়।

কখন একজন উর্বরতা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

যদি আপনি এক বছর ধরে চেষ্টা করার পরেও গর্ভধারণ করতে না পারেন, অথবা আপনার বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয় এবং ছয় মাস ধরে চেষ্টা করার পরেও গর্ভধারণ না হয়, তাহলে একজন উর্বরতা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জীবনধারা পরিবর্তন করে উর্বরতা বৃদ্ধি

কিছু জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে উর্বরতা বাড়ানো সম্ভব।

খাদ্যাভ্যাস

  • স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: ফল, সবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ করুন: গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভাবস্থায় ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা জরুরি।
  • অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।

শারীরিক কার্যকলাপ

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন উভয়ই উর্বরতার জন্য ক্ষতিকর।

মানসিক স্বাস্থ্য

  • মানসিক চাপ কমান: যোগা, মেডিটেশন বা শখের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ

  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন: এই অভ্যাসগুলো উর্বরতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
  • ক্যাফিন গ্রহণ কম করুন: অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণ উর্বরতা কমাতে পারে।

বিশেষজ্ঞের মতামত

বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারজানা ইসলাম বলেন, "HSG টেস্ট ফ্যালোপিয়ান টিউবের অবস্থা জানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে টিউব বন্ধ থাকলে তা সনাক্ত করা যায় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়।"

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

এখানে HSG টেস্ট নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

HSG টেস্ট কি বেদনাদায়ক?

HSG টেস্ট করার সময় কিছু discomfort হতে পারে, তবে এটি সাধারণত খুব বেশি বেদনাদায়ক নয়। অনেক মহিলা এটিকে মাসিকের ব্যথার মতো অনুভব করেন। পরীক্ষার পরে হালকা ব্যথা বা ক্র্যাম্পিং হতে পারে, যা ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে কমানো যায়।

HSG টেস্টের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে?

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে HSG টেস্টের পর কয়েক মাসের মধ্যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে। এর কারণ হলো, ডাই জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ছোটখাটো ব্লকেজ দূর করতে সাহায্য করে।

HSG টেস্টের বিকল্প কী কী?

HSG টেস্টের বিকল্প হিসেবে সোনো হিস্টেরোগ্রাফি (Sono hysterography) এবং ল্যাপারোস্কোপি (Laparoscopy) করা যেতে পারে। সোনো হিস্টেরোগ্রাফিতে আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব দেখা হয়, তবে এটি HSG এর মতো বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে না। ল্যাপারোস্কোপি একটি সার্জিক্যাল পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সরাসরি ফ্যালোপিয়ান টিউব দেখা যায়।

HSG টেস্টের খরচ কেমন?

HSG টেস্টের খরচ সাধারণত ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটি নির্ভর করে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উপর।

টেস্টের আগে কি খাবার খাওয়া যাবে?

সাধারণত, HSG টেস্টের আগে খাবার খাওয়া যায়। তবে, আপনার ডাক্তার যদি অন্য কোনো পরামর্শ দেন, তবে তা মেনে চলা উচিত।

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে কি গর্ভধারণ সম্ভব?

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করা কঠিন। তবে, কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ সম্ভব, যেমন ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF)।

HSG টেস্টের জন্য ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোথায় পাব?

HSG টেস্টের জন্য ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুঁজে বের করতে, আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়াও, অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে ভালো সেন্টার নির্বাচন করতে পারেন।

উপসংহার

HSG টেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যা মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয় করতে সাহায্য করে। ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা থাকলে এই টেস্টের মাধ্যমে তা জানা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করা যায়। যদি আপনি গর্ভধারণ করতে সমস্যা অনুভব করেন, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে HSG টেস্ট করানোর বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করলে মাতৃত্বের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। আপনার সুস্থ জীবন এবং মাতৃত্বের পথে আমরা সবসময় আপনার পাশে আছি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *