HB ELECTROPHORESIS টেস্ট কেন করা হয়: হিমোগ্লোবিন
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন आपनी? आज हमी आपनादेर जन्य निए एसेছি खूब गुरुत्वपूर्ण একটি विषय। आजের विषयটি होলো HB ELECTROPHORESIS টেস্ট কেন করা হয়: হিমোগ্লোবিন।
হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি রক্তের লাল কণিকার মধ্যে থাকে এবং অক্সিজেন পরিবহন করে। কোনো কারণে হিমোগ্লোবিনের গঠন বা পরিমাণে সমস্যা হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো নির্ণয় করার জন্য एचबी इलेक्ट्रोफोरेसिस টেস্টটি করা হয়। তাহলে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক এই টেস্ট সম্পর্কে।
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস (HB Electrophoresis) কি?
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস (HB Electrophoresis) হলো একটি বিশেষ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রোটিনের ধরন এবং পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। এটি মূলত হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। যেমন: থ্যালাসেমিয়া ও সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রোগ নির্ণয় করা যায়। এই টেস্টের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের বিভিন্ন প্রকারভেদ যেমন – HbA, HbA2, HbF, HbS, HbC ইত্যাদি শনাক্ত করা যায়।
কেন এই টেস্টটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
- রোগ নির্ণয়: হিমোগ্লোবিনের গঠনগত ত্রুটি থাকলে তা নির্ণয় করা যায়।
- চিকিৎসা: সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
- বংশগত রোগ: বংশগত রোগ আছে কিনা, তা জানা যায়।
- ঝুঁকি কমানো: রোগের ঝুঁকি আগে থেকে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট কেন করা হয়?
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট নিম্নলিখিত কারণে করা হয়ে থাকে:
-
থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়: থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে না। ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার ধরন এবং তীব্রতা নির্ণয় করা যায়।
- আলফা থ্যালাসেমিয়া: আলফা চেইন উৎপাদনে ত্রুটি।
- বিটা থ্যালাসেমিয়া: বিটা চেইন উৎপাদনে ত্রুটি।
-
সিকল সেল অ্যানিমিয়া নির্ণয়: এটিও একটি বংশগত রোগ, যেখানে লোহিত রক্তকণিকাগুলো কাস্তের মতো বাঁকা হয়ে যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব।
-
হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা নির্ণয়: হিমোগ্লোবিনের গঠনে কোনো ত্রুটি থাকলে, যেমন HbS, HbC, HbE ইত্যাদি শনাক্ত করা যায়।
-
অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা) কারণ নির্ণয়: রক্তশূন্যতার কারণ খুঁজে বের করতে এই পরীক্ষাটি সহায়ক।
- আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া: শরীরে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা।
- ভিটামিন বি১২ এর অভাব: ভিটামিন বি১২ এর অভাবে রক্তশূন্যতা।
-
বংশগত রোগের ঝুঁকি মূল্যায়ন: কোনো দম্পতির মধ্যে থ্যালাসেমিয়া বা সিকল সেল অ্যানিমিয়ার বাহক থাকলে, তাদের সন্তানের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা, তা জানা যায়।
- কেরিয়ার স্ক্রিনিং: সন্তান ধারণের আগে এই পরীক্ষা করালে ঝুঁকি কমানো যায়।
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট কিভাবে করা হয়?
এই পরীক্ষাটি করার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:
- রক্ত সংগ্রহ: প্রথমে আপনার হাতের একটি শিরা থেকে রক্তের নমুনা নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াটি খুবই সাধারণ এবং এতে সামান্য discomfort হতে পারে।
- নমুনা প্রস্তুতি: রক্তের নমুনা একটি বিশেষ টিউবে রাখা হয় এবং তা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
- ইлектроফোরেসিস প্রক্রিয়া: রক্তের নমুনা একটি জেল বা কাগজের উপর স্থাপন করা হয়। এরপর এর মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহিত করা হয়। এই কারেন্টের প্রভাবে হিমোগ্লোবিন প্রোটিনগুলো তাদের চার্জ এবং আকারের ভিত্তিতে আলাদা হয়ে যায়।
- ফলাফল বিশ্লেষণ: ল্যাবের টেকনিশিয়ান এরপর জেল বা কাগজের উপর হিমোগ্লোবিনের ব্যান্ডগুলো দেখে ফলাফল বিশ্লেষণ করেন। অস্বাভাবিক কোনো ব্যান্ড দেখলে বা কোনো বিশেষ ধরনের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেশি হলে, তা চিহ্নিত করা হয়।
- রিপোর্ট তৈরি: সবশেষে, পরীক্ষার ফলাফল একটি রিপোর্টের মাধ্যমে জানানো হয়, যা আপনার ডাক্তারকে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে।
পরীক্ষার আগে কী প্রস্তুতি নিতে হবে?
সাধারণত এই পরীক্ষার জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:
- ডাক্তারের পরামর্শ: পরীক্ষা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
- খাবার: সাধারণত এই পরীক্ষার জন্য উপোস থাকার প্রয়োজন নেই। তবে আপনার ডাক্তার কোনো বিশেষ নির্দেশ দিলে তা অবশ্যই মেনে চলুন।
- ওষুধ: আপনি যদি কোনো ওষুধ খেয়ে থাকেন, তবে সে বিষয়ে ডাক্তারকে জানান।
পরীক্ষার সময় কেমন লাগবে?
- রক্ত দিতে সামান্য discomfort হতে পারে।
- পুরো প্রক্রিয়াটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন হয়।
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্টের ফলাফল
টেস্টের ফলাফলে বিভিন্ন ধরনের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে। স্বাভাবিক মান থেকে ভিন্ন কিছু পাওয়া গেলে, তা রোগের ইঙ্গিত দেয়।
ফলাফলের ব্যাখ্যা
| হিমোগ্লোবিনের প্রকার | স্বাভাবিক মান | অস্বাভাবিক মান | সম্ভাব্য রোগ |
|---|---|---|---|
| HbA | ৯৫-৯৮% | কম থাকলে | থ্যালাসেমিয়া |
| HbA2 | ২-৩% | বেশি থাকলে | বিটা থ্যালাসেমিয়া |
| HbF | ০-২% | বেশি থাকলে | থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া |
| HbS | ০% | উপস্থিতি | সিকল সেল অ্যানিমিয়া |
| HbC | ০% | উপস্থিতি | হিমোগ্লোবিন সি রোগ |
| HbE | ০% | উপস্থিতি | হিমোগ্লোবিন ই রোগ |
এই টেবিলটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ। আপনার পরীক্ষার ফলাফল আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্টের সুবিধা ও অসুবিধা
যেকোনো পরীক্ষারই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা থাকে। एचबी इलेक्ट्रोफोरेसिस টেস্টের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। নিচে এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা হলো:
সুবিধা
- সঠিক রোগ নির্ণয়: হিমোগ্লোবিনের গঠনগত ত্রুটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।
- বংশগত রোগ শনাক্তকরণ: থ্যালাসেমিয়া ও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বংশগত রোগ শনাক্ত করা যায়।
- ঝুঁকি মূল্যায়ন: রোগের ঝুঁকি আগে থেকে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
- সহজলভ্যতা: এটি একটি সহজলভ্য পরীক্ষা এবং প্রায় সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাওয়া যায়।
অসুবিধা
- সময়সাপেক্ষ: পরীক্ষার ফলাফল পেতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
- খরচ: কিছু ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি ব্যয়বহুল হতে পারে।
- সীমিত তথ্য: এটি শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি নির্ণয় করতে পারে, অন্যান্য রোগের জন্য আরও পরীক্ষা লাগতে পারে।
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
এই বিষয়ে আপনাদের মনে আরও কিছু প্রশ্ন আসতে পারে। তাই নিচে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
एचबी इलेक्ट्रोफोरेसिस টেস্টের খরচ কেমন?
এই টেস্টের খরচ সাধারণত ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে স্থান ও ল্যাবভেদে এই খরচ ভিন্ন হতে পারে।
टेस्टের रिपोर्ट পেতে কতদিন লাগে?
সাধারণত रिपोर्ट পেতে ২-৩ দিন সময় লাগে। কিছু কিছু ল্যাবে দ্রুত रिपोर्ट দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকে।
এই টেস্ট কি খালি পেটে করতে হয়?
সাধারণত এই টেস্টের জন্য খালি পেটে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে আপনার डॉक्टर যদি অন্য কোনো নির্দেশ দেন, তাহলে সেটি অবশ্যই মেনে চলবেন।
ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই টেস্ট কিভাবে করা হয়?
ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে রক্ত নেওয়া হয়। তবে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ सावधानी অবলম্বন করা হয়, যাতে তারা কোনো কষ্ট না পায়।
एचबी इलेक्ट्रोफोरेसिस টেস্টের বিকল্প কি কি?
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্টের কিছু বিকল্প পরীক্ষা রয়েছে, যা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে:
- হিমোগ্লোবিন এ ইলেক্ট্রোফোরেসিস (Hemoglobin A electrophoresis)
- ডিএনএ বিশ্লেষণ (DNA analysis)
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (Complete Blood Count – CBC)
উপসংহার
এইচবি ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যা হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। থ্যালাসেমিয়া ও সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো বংশগত রোগ শনাক্তকরণের জন্য এই পরীক্ষা অপরিহার্য। সময়মতো এই পরীক্ষা করিয়ে আপনি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
যদি আপনার ডাক্তার এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে আজই আপনার নিকটস্থ ভালো কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাটি করিয়ে নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আপনার যে কোনো প্রয়োজনে আমরা সবসময় পাশে আছি।
যদি এই বিষয়ে আপনার আরও কিছু জানার থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে আমরা প্রস্তুত। धन्यवाद!
