কিডনি টেস্টের নামের তালিকা: সম্পূর্ণ গাইড
কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে দেওয়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখা আমাদের সবার জন্য জরুরি। কিডনির সমস্যা নীরবে শুরু হতে পারে, তাই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। আজকের ব্লগ পোস্টে, আমরা কিডনি টেস্টের নামের তালিকা এবং এই পরীক্ষাগুলো কেন দরকার, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কিডনি টেস্ট কেন জরুরি?
কিডনি রোগ খুব ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে। অনেক সময় এর লক্ষণগুলো প্রথমে বোঝা যায় না। তাই রোগের শুরুতে শনাক্ত করার জন্য কিডনি পরীক্ষা করা জরুরি। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা সম্পর্কে জানা যায় এবং কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ: যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি।
- পারিবারিক ইতিহাস: যদি পরিবারের কারো কিডনি রোগ থাকে, তাহলে আপনারও ঝুঁকি থাকতে পারে।
- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে।
- অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: হৃদরোগ বা অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
কিডনি টেস্টের নামের তালিকা: সম্পূর্ণ গাইড
কিডনির কার্যকারিতা জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কিডনি টেস্টের নাম এবং এদের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. ইউরিন টেস্ট (Urinalysis)
ইউরিন টেস্ট বা প্রস্রাব পরীক্ষা হলো কিডনি পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এই পরীক্ষায় প্রস্রাবের রং, ঘনত্ব এবং অন্যান্য উপাদান যেমন প্রোটিন, শর্করা, শ্বেত রক্ত কণিকা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
ইউরিন টেস্ট কেন করা হয়?
- কিডনি রোগ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) শনাক্ত করতে।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা জানতে।
- শরীরে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) আছে কিনা, তা নির্ণয় করতে।
ইউরিন টেস্টের পদ্ধতি
একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রস্রাব সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হয়।
২. ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন (BUN) টেস্ট
BUN টেস্টের মাধ্যমে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ মাপা হয়। ইউরিয়া হলো একটি বর্জ্য পদার্থ, যা প্রোটিন ভাঙার ফলে তৈরি হয়। কিডনি ইউরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দেয়। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।
BUN টেস্ট কেন করা হয়?
- কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে।
- কিডনি রোগের তীব্রতা নির্ণয় করতে।
- চিকিৎসার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে।
BUN টেস্টের পদ্ধতি
রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ মাপা হয়।
৩. সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
ক্রিয়েটিনিন হলো মাংসপেশীর স্বাভাবিক কাজের ফলে তৈরি হওয়া একটি বর্জ্য পদার্থ। কিডনি ক্রিয়েটিনিনকে শরীর থেকে বের করে দেয়। সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্টের মাধ্যমে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা মাপা হয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকলে কিডনি রোগের সম্ভাবনা থাকে।
সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট কেন করা হয়?
- কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে।
- কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কিডনি সুরক্ষায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য।
সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্টের পদ্ধতি
রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ মাপা হয়।
৪. গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (GFR)
GFR হলো কিডনির কার্যকারিতা मापनेর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এটি দিয়ে বোঝা যায় কিডনি কত ভালোভাবে রক্ত পরিশোধন করতে পারছে। GFR কম হওয়া মানে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে।
GFR কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- কিডনি রোগের স্টেজ নির্ণয় করতে।
- চিকিৎসার পরিকল্পনা করতে।
- কিডনি রোগের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে।
GFR কিভাবে মাপা হয়?
GFR সরাসরি মাপা যায় না। এটি ক্রিয়েটিনিন, বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিভেদের ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। GFR মাপার জন্য একটি ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়।
৫. ইলেক্ট্রোলাইট প্যানেল
এই পরীক্ষায় রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড এবং বাইকার্বোনেটের মাত্রা মাপা হয়। এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলো শরীরের তরল balance এবং নার্ভের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিডনি রোগ হলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
ইলেক্ট্রোলাইট প্যানেল কেন করা হয়?
- কিডনি রোগের কারণে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা নির্ণয় করতে।
- উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে।
- শরীরের তরলের পরিমাণ এবং অ্যাসিড-বেস balance পরীক্ষা করতে।
ইলেক্ট্রোলাইট প্যানেলের পদ্ধতি
রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা মাপা হয়।
৬. কিডনি বায়োপসি
কিডনি বায়োপসি একটি বিশেষ পরীক্ষা, যেখানে কিডনি থেকে ছোট একটি টিস্যুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এটি সাধারণত কিডনি রোগের কারণ নির্ণয় এবং রোগের তীব্রতা জানার জন্য করা হয়।
কিডনি বায়োপসি কেন করা হয়?
- কিডনি রোগের কারণ নির্ণয় করতে।
- চিকিৎসার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে।
- টিউমার বা ক্যান্সারের লক্ষণ আছে কিনা, তা জানতে।
কিডনি বায়োপসির পদ্ধতি
আলট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে কিডনির অবস্থান দেখে একটি ছোট নিডলের সাহায্যে টিস্যুর নমুনা নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত হাসপাতালে করা হয়।
৭. আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound)
আলট্রাসাউন্ড হলো একটি ইমেজিং পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে কিডনির ছবি তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে কিডনির আকার, আকৃতি এবং কোনো টিউমার বা পাথর আছে কিনা, তা দেখা যায়।
আলট্রাসাউন্ড কেন করা হয়?
- কিডনিতে পাথর বা টিউমার শনাক্ত করতে।
- কিডনির আকার এবং গঠন দেখতে।
- অন্যান্য কিডনি রোগ নির্ণয় করতে।
আলট্রাসাউন্ডের পদ্ধতি
আলট্রাসাউন্ড মেশিনের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ কিডনিতে পাঠানো হয় এবং কম্পিউটারে ছবি তৈরি করা হয়। এটি একটি ব্যথাহীন পরীক্ষা।
৮. সিটি স্ক্যান (CT Scan)
সিটি স্ক্যান হলো একটি বিশেষ ধরনের এক্স-রে। এই পরীক্ষায় কিডনির বিস্তারিত ছবি পাওয়া যায়। সিটি স্ক্যান কিডনির ভেতরের গঠন এবং কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে তা শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
সিটি স্ক্যান কেন করা হয়?
- কিডনিতে পাথর, টিউমার বা অন্য কোনো জটিল সমস্যা নির্ণয় করতে।
- কিডনির রক্তনালীগুলোর অবস্থা জানতে।
- বায়োপসির আগে কিডনির সঠিক অবস্থান জানতে।
সিটি স্ক্যানের পদ্ধতি
সিটি স্ক্যান মেশিনে শুয়ে থাকতে হয় এবং মেশিনের মাধ্যমে কিডনির ছবি নেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে, পরীক্ষার আগে রোগীকে কন্ট্রাস্ট ডাই দেওয়া হতে পারে।
৯. রেনাল ডপলার আলট্রাসনোগ্রাফি
রেনাল ডপলার আলট্রাসনোগ্রাফি একটি বিশেষ আলট্রাসনোগ্রাফি, যার মাধ্যমে কিডনির রক্তনালীগুলোর অবস্থা জানা যায়। এটি কিডনিতে রক্ত সরবরাহ কেমন হচ্ছে, তা জানতে সাহায্য করে।
রেনাল ডপলার আলট্রাসনোগ্রাফি কেন করা হয়?
- কিডনির রক্তনালীতে কোনো blockage আছে কিনা, তা জানতে।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্ণয় করতে।
- কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর রক্ত সরবরাহ পরীক্ষা করতে।
রেনাল ডপলার আলট্রাসনোগ্রাফির পদ্ধতি
সাধারণ আলট্রাসাউন্ডের মতোই এই পরীক্ষা করা হয়। তবে, এই পরীক্ষায় শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহের গতি এবং দিক নির্ণয় করা হয়।
কিডনি পরীক্ষা কখন করা উচিত?
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কিডনি পরীক্ষা করানো জরুরি। নিচে কয়েকটি পরিস্থিতি উল্লেখ করা হলো:
- ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
- পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা।
- পা এবং চোখের চারপাশে ফোলা ভাব দেখা গেলে।
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করলে।
- প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হলে বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত গেলে।
কিডনি ভালো রাখার উপায়
নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করার পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন (প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস)।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং লবণ কম খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করুন।
- ব্যথানাশক ঔষধ (পেইন কিলার) কম খান।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
কিডনি পরীক্ষা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
এখানে কিডনি পরীক্ষা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
কিডনি পরীক্ষার খরচ কত?
কিডনি পরীক্ষার খরচ বিভিন্ন ল্যাব এবং পরীক্ষার ধরনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, ইউরিন টেস্টের খরচ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, BUN টেস্টের খরচ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্টের খরচ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং GFR পরীক্ষার খরচ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আলট্রাসাউন্ড এবং সিটি স্ক্যানের খরচ আরও বেশি হতে পারে।
কিডনি পরীক্ষার জন্য কি উপোস থাকা জরুরি?
কিছু কিডনি পরীক্ষার জন্য উপোস থাকার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, কিছু ব্লাড টেস্টের আগে ৮-১২ ঘণ্টা উপোস থাকতে বলা হয়। আপনার ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষার আগে কী করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
কিডনি পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে কত দিন লাগে?
সাধারণত, ইউরিন টেস্ট এবং ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট ১-২ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। আলট্রাসাউন্ড এবং সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেতে ২-৩ দিন লাগতে পারে। কিডনি বায়োপসির রিপোর্ট পেতে সাধারণত ১ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?
কিডনি সমস্যার জন্য নেফ্রোলজিস্টের (Kidney Specialist) পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা ইউরোলজিস্টও (Urologist) কিডনি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারেন।
GFR এর স্বাভাবিক মান কত?
GFR এর স্বাভাবিক মান সাধারণত ৯০ ml/min/1.73 m2 এর বেশি হওয়া উচিত। GFR ৬০-৮৯ ml/min/1.73 m2 হলে হালকা কিডনি রোগ এবং GFR ১৫-৫৯ ml/min/1.73 m2 হলে মাঝারি থেকে গুরুতর কিডনি রোগ হিসেবে ধরা হয়। GFR ১৫ ml/min/1.73 m2 এর কম হলে কিডনি ফেইলিউর হিসেবে গণ্য করা হয় এবং ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হতে পারে।
ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত?
পুরুষদের ক্ষেত্রে সিরাম ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ০.৫ থেকে ১.১ mg/dL। এই মাত্রা ল্যাব এবং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
শেষ কথা
কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই এর সঠিক যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কিডনি রোগের লক্ষণগুলো শুরুতে বোঝা না গেলেও, নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা সম্ভব। এই ব্লগ পোস্টে আমরা কিডনি টেস্টের নামের তালিকা এবং এই পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
