কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট: নির্ণয় পদ্ধতি
কিডনি ইনফেকশন? পরীক্ষাগুলো কি কি এবং কেন জরুরি?
আচ্ছা, কেমন হয় যদি হঠাৎ করে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়, জ্বর আসে আর সেই সাথে বমি বমি ভাব? নিশ্চই ভালো লাগবে না, তাই না? এইগুলো কিন্তু কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে। কিডনি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। তাই কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর ডাক্তার হয়তো কিছু পরীক্ষার কথা বলবেন। কিন্তু কিডনি ইনফেকশনের জন্য কি কি পরীক্ষা করা হয়, সেটা কি আপনি জানেন? না জানলে কোনো চিন্তা নেই, আমি আছি আপনাদের সাথে! আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা কিডনি ইনফেকশনের বিভিন্ন পরীক্ষা এবং নির্ণয় পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কিডনি ইনফেকশন কেন হয়?
কিডনি ইনফেকশন মূলত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। আমাদের মূত্রনালীর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া কিডনিতে প্রবেশ করে ইনফেকশন সৃষ্টি করে। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও কিডনি ইনফেকশন হতে পারে।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলো কী কী?
কিডনি ইনফেকশনের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- জ্বর (সাধারণত ১০১° ফারেনহাইট বা তার বেশি)
- পেটে বা পিঠে ব্যথা
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- দুর্বল লাগা
যদি আপনার এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
কিডনি ইনফেকশনের নির্ণয় পদ্ধতি: কি কি টেস্ট করা হয়?
কিডনি ইনফেকশন নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তার সাধারণত কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দেন। এই পরীক্ষাগুলো কিডনির অবস্থা এবং ইনফেকশনের তীব্রতা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ইউরিন টেস্ট (Urine Test):
ইউরিন টেস্ট বা প্রস্রাব পরীক্ষা কিডনি ইনফেকশন নির্ণয়ের প্রথম ধাপ। এই পরীক্ষায় প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া, শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells) এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক উপাদান আছে কিনা, তা দেখা হয়।
ইউরিন টেস্ট কিভাবে করা হয়?
ইউরিন টেস্টের জন্য সাধারণত একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রস্রাব সংগ্রহ করতে হয়। এরপর সেই প্রস্রাব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। ইউরিন পরীক্ষায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো দেখা হয়:
- ইউরিন কালচার (Urine Culture): এই পরীক্ষায় প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি এবং ব্যাকটেরিয়ার ধরন সনাক্ত করা হয়। কোন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার উপর কাজ করবে, সেটিও জানা যায়।
- ইউরিন মাইক্রোস্কোপি (Urine Microscopy): এই পরীক্ষায় মাইক্রোস্কোপের নিচে প্রস্রাব পরীক্ষা করে শ্বেত রক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকা (Red Blood Cells) এবং অন্যান্য কোষের উপস্থিতি দেখা হয়।
- ইউরিন ডিপস্টিক (Urine Dipstick): এটি একটি দ্রুত পরীক্ষা, যার মাধ্যমে প্রস্রাবের পিএইচ (pH), প্রোটিন, গ্লুকোজ এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান মাপা হয়।
রক্ত পরীক্ষা (Blood Test):
রক্ত পরীক্ষা কিডনি ইনফেকশনের কারণে শরীরের অন্যান্য অংশে কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা, তা জানতে সাহায্য করে।
রক্ত পরীক্ষায় কি কি দেখা হয়?
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (Complete Blood Count – CBC): এই পরীক্ষায় রক্তের বিভিন্ন কোষ, যেমন – শ্বেত রক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকা এবং প্লেটলেট-এর সংখ্যা মাপা হয়। ইনফেকশন থাকলে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়।
- সিরাম ক্রিয়েটিনিন (Serum Creatinine): এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
- ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন (Blood Urea Nitrogen – BUN): এটিও কিডনির কার্যকারিতা দেখার জন্য করা হয়। BUN-এর মাত্রা বেশি হলে কিডনির সমস্যা থাকতে পারে।
- ইলেক্ট্রোলাইট প্যানেল (Electrolyte Panel): এই পরীক্ষায় রক্তের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড এবং বাইকার্বোনেটের মাত্রা মাপা হয়। কিডনি ইনফেকশনের কারণে এই উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
ইমেজিং টেস্ট (Imaging Test):
কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার কিডনির ছবি দেখার জন্য ইমেজিং টেস্টের পরামর্শ দিতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলো কিডনির গঠন এবং কোনো প্রকার অস্বাভাবিকতা (যেমন – পাথর, ফোড়া) সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের ইমেজিং টেস্ট:
- আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound): এটি একটি নিরাপদ এবং ব্যথামুক্ত পরীক্ষা। আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে কিডনির আকার, আকৃতি এবং কোনো প্রকার ব্লকেজ (blockage) আছে কিনা, তা দেখা যায়।
- সিটি স্ক্যান (CT Scan): সিটি স্ক্যান কিডনির আরও বিস্তারিত ছবি সরবরাহ করে। এটি কিডনির পাথর, ফোড়া বা অন্য কোনো জটিলতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। তবে, সিটি স্ক্যানে রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয়, তাই এটি সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
- এমআরআই (MRI): এমআরআই একটি শক্তিশালী ইমেজিং পরীক্ষা, যা কিডনির নরম টিস্যুগুলোর (soft tissues) ছবি খুব ভালোভাবে দেখাতে পারে। এটি সাধারণত জটিল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যেখানে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন।
- ডিস্ক্যান (DMSA Scan): DMSA স্ক্যান একটি নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইমেজিং পদ্ধতি, যা কিডনির কার্যকারিতা এবং গঠন মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। DMSA (Dimercaptosuccinic acid) একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ যা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। কিডনি এই DMSA শোষণ করে, এবং একটি বিশেষ ক্যামেরা (গামা ক্যামেরা) ডিটেক্ট করে কিডনির ছবি তৈরি করে।
অন্যান্য পরীক্ষা:
উপরের পরীক্ষাগুলো ছাড়াও, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তার আরও কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন:
- সিস্টোস্কোপি (Cystoscopy): এই পদ্ধতিতে একটি সরু, নমনীয় টিউব (সিস্টোস্কোপ) মূত্রনালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করানো হয়। এর মাধ্যমে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীর ভেতরের অংশ সরাসরি দেখা যায়।
- কিডনি বায়োপসি (Kidney Biopsy): কিডনি বায়োপসি একটি জটিল পরীক্ষা, যেখানে কিডনি থেকে একটি ছোট টিস্যুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এটি সাধারণত কিডনির রোগের কারণ নির্ণয় এবং রোগের তীব্রতা জানতে করা হয়।
ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চনস (Frequently Asked Questions):
কিডনি ইনফেকশন নিয়ে আপনাদের মনে নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন আছে। তাই নিচে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
কিডনি ইনফেকশনের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?
কিডনি ইনফেকশনের জন্য একজন ইউরোলজিস্ট (Urologist) বা নেফ্রোলজিস্ট (Nephrologist)-এর কাছে যাওয়া উচিত। তারা কিডনি এবং মূত্রনালী সংক্রান্ত রোগের বিশেষজ্ঞ।
কিডনি ইনফেকশন কি মারাত্মক হতে পারে?
হ্যাঁ, কিডনি ইনফেকশন মারাত্মক হতে পারে যদি সময় মতো চিকিৎসা না করা হয়। এটি কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে, এমনকি সেপসিস (sepsis) নামক জীবন-হুমকি সৃষ্টিকারী জটিলতাও তৈরি করতে পারে।
কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধের উপায় কি?
কিছু সাধারণ উপায় অবলম্বন করে কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধ করা যায়:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- নিয়মিত প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাব চেপে না রাখা
- প্রস্রাবের পর সঠিক ভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
- যৌন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
কিডনি ইনফেকশন হলে কি খাবার খাওয়া উচিত?
কিডনি ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও, ফল এবং সবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। লবণ এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া ভালো।
কিডনি ইনফেকশন এর ঘরোয়া চিকিৎসা আছে কি?
কিডনি ইনফেকশনের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা তেমন কার্যকরী নয়। তবে, কিছু ঘরোয়া উপায় লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন – প্রচুর পানি পান করা, ক্র্যানবেরি জুস (cranberry juice) খাওয়া এবং ভিটামিন সি (vitamin C) সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়।
প্রেগন্যান্সিতে (Pregnancy) কিডনি ইনফেকশন হলে কি করা উচিত?
প্রেগন্যান্সিতে কিডনি ইনফেকশন খুবই গুরুতর হতে পারে। এটি মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, গর্ভবতী মহিলাদের কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কিডনি ইনফেকশন ভালো হতে কতদিন লাগে?
সাধারণত, অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলো উন্নতি হতে শুরু করে। তবে, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পুরো কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক শেষ করা জরুরি।
কিডনি ইনফেকশন কি ছোঁয়াচে?
না, কিডনি ইনফেকশন ছোঁয়াচে নয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় এবং একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায় না।
কিডনি ইনফেকশন হলে কি ব্যায়াম করা যায়?
কিডনি ইনফেকশন হলে বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়। হালকা হাঁটাচলা করা যেতে পারে, তবে শরীরকে বেশি চাপ দেওয়া উচিত নয়।
টেবিল: কিডনি ইনফেকশন নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
| পরীক্ষার নাম | উদ্দেশ্য | পদ্ধতি | ফলাফল |
|---|---|---|---|
| ইউরিন টেস্ট (Urine Test) | প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক উপাদান সনাক্ত করা | প্রস্রাব সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয় | ব্যাকটেরিয়া, শ্বেত রক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকা এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক উপাদানের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি নির্দেশ করে |
| রক্ত পরীক্ষা (Blood Test) | কিডনি ইনফেকশনের কারণে শরীরের অন্যান্য অংশে কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা, তা জানা | রক্ত সংগ্রহ করে রক্তের বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা করা হয় | শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা, BUN-এর মাত্রা এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যায় |
| আলট্রাসাউন্ড (Ultrasound) | কিডনির আকার, আকৃতি এবং কোনো ব্লকেজ আছে কিনা, তা দেখা | শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে কিডনির ছবি তৈরি করা হয় | কিডনিতে পাথর, ফোড়া বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করা যায় |
| সিটি স্ক্যান (CT Scan) | কিডনির আরও বিস্তারিত ছবি দেখা এবং জটিলতা সনাক্ত করা | এক্স-রে ব্যবহার করে কিডনির ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করা হয় | কিডনির পাথর, ফোড়া বা অন্য কোনো জটিলতা আরও স্পষ্টভাবে সনাক্ত করা যায় |
| এমআরআই (MRI) | কিডনির নরম টিস্যুগুলোর (soft tissues) ছবি ভালোভাবে দেখা | শক্তিশালী চুম্বক এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কিডনির ছবি তৈরি করা হয় | কিডনির নরম টিস্যুগুলোর বিস্তারিত চিত্র পাওয়া যায়, যা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে |
| ডিস্ক্যান (DMSA Scan) | কিডনির কার্যকারিতা এবং গঠন মূল্যায়ন করা | DMSA নামক তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে কিডনির ছবি তোলা হয় | কিডনির কার্যকারিতা এবং গঠন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, যা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে |
| সিস্টোস্কোপি (Cystoscopy) | মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীর ভেতরের অংশ সরাসরি দেখা | সিস্টোস্কোপ নামক একটি সরু, নমনীয় টিউব মূত্রনালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করানো হয় | মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীর ভেতরের কোনো সমস্যা, যেমন – পাথর, টিউমার বা প্রদাহ সনাক্ত করা যায় |
| কিডনি বায়োপসি (Kidney Biopsy) | কিডনির রোগের কারণ নির্ণয় এবং রোগের তীব্রতা জানতে কিডনি থেকে টিস্যুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয় | কিডনি থেকে একটি ছোট টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা হয় | কিডনির রোগের কারণ, রোগের তীব্রতা এবং কিডনির ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় |
শেষ কথা:
কিডনি ইনফেকশন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু করলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। এই ব্লগ পোস্টে কিডনি ইনফেকশনের বিভিন্ন পরীক্ষা এবং নির্ণয় পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনার কিডনি ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করান। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন!
যদি আপনার এই ব্লগ পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
